প্রবা
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৪ ১০:১৫ এএম
নিরাপদ ক্যাম্পাস
চাই
দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ এ শিক্ষাঙ্গনের ক্যাম্পাসেই শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। তাদের জন্য পুরো ঢাবি ক্যাম্পাসই ক্রমে অনিরাপদ হয়ে উঠছে। বহিরাগতদের অনিয়ন্ত্রিত প্রবেশ, পাগল-নেশাখোরের দৌরাত্ম্য, চুরি-ছিনতাই, অবাধ যান চলাচল শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক কার্যক্রম যেমন ব্যাহত করছে, তেমন নানান সময়ে তাদের অপ্রীতিকর পরিস্থিতিরও সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এ ছাড়া যেখানে সেখানে পার্কিং, যানবাহনের মাত্রাতিরিক্ত আওয়াজ, কনসার্টের উচ্চশব্দ, হকারের যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলায় প্রতিনিয়ত নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় নিরাপত্তাহীনতার শিকার হচ্ছেন। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাসও জরুরি। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার সঙ্গে ক্যাম্পাসের স্বকীয়তা বজায় রাখতে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
জোবাইদুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, আরবি
বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
নারীর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি জরুরি
যুগে যুগে নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের সাক্ষী হয়ে
এসেছে বহু ঘটনা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বহু মনীষী প্রতিবাদ এবং এ প্রতিকূলতা সমাধানের
লক্ষ্যে আন্দোলন করেছেন। এখনও আমাদের মেয়েরা তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারছে না। এখনও
পরিবারে, সমাজে, কর্মক্ষেত্রে ছেলেদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখা যায়। এখনও মনে করা
হয় কর্মক্ষেত্রে একজন নারী থেকে পুরুষ ভালো কাজ করবে। তা ছাড়া পরিবারে সন্তান
লালনপালনের ক্ষেত্রেও ঠিক একই রকম দৃশ্য পরিলক্ষিত। পিতামাতা ছেলেসন্তানকে খুব জোর
দিয়ে ও সযত্নে লালনপালন করেন। তাদের ধারণা, পিতামাতা বৃদ্ধ হলে ছেলেসন্তানই তাদের
ভার বহন করবে। আর মেয়েসন্তানের সম্পর্কে ধারণা, তারা বড় হলে স্বামীর বাড়ি চলে
যাবে, তাই ছেলেদের মতো যত্নে লালনপালন করা হয় না। কিন্তু আমরা যদি মেয়েদের শুধু
মেয়ে হিসেবে চিন্তা না করে মানুষ হিসেবে চিন্তা করি তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হবে।
আসুন আমরা নারীর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করি। সমাজে সব স্তরে এর পক্ষে সচেতনতা
বৃদ্ধি করি। তবেই দেশ আরও সমৃদ্ধ হবে। তবেই আমরা বলতে পারবও নারী-পুরুষ উভয়েরই
সমান অধিকার।
মোসা. আফরিনা আক্তার
শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ
সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা
বাজারের তাপ-চাপ কমান
রোজা এগিয়ে আসার আগেই শুরু হয় নিত্যপণ্যের দাম বাড়া। আর পুরো
রোজার সময়ই এ বাড়তি দাম ক্রেতাকে মেনে নিতে হয়। নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে
বিপাকে পড়ে খেটে খাওয়া মানুষ। অন্যদিকে দ্রব্যমূল্য বাড়ার পেছনে কে দায়ী তা নিয়েও
চলে পাল্টাপাল্টি দোষারোপের অপসংস্কৃতি। ফেব্রুয়ারিতে সরকারের বিপণন সংস্থা
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির প্রকাশিত পণ্যতালিকায় দেখা যায়, গত এক মাসের
ব্যবধানে গরুর মাংস, ব্রয়লার মুরগি, ছোলা, ডাল, পেঁয়াজ, শুকনা মরিচ, হলুদ,
দারচিনি, তেজপাতা ইত্যাদি পণ্যের দাম বেড়েছে। সিন্ডিকেটের কারণে ব্রয়লার ও গরুর
মাংসের দাম কমছে না।অথচ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, দেশে বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহে কোনো সংকট নেই। কিন্তু
‘অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশ’ বাড়তি মুনাফা পেতে নিত্যপ্রয়োজনীয়
পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এটি বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রমজানে বাজার
অস্থির হয়ে উঠতে পারে। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম
নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে।
মো. আনোয়ার হোসেন
ঢাকা